ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, প্রেসিডেন্টের ‘চুক্তি তৈরির কনসোর্টিয়াম’-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন যারা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছিলেন।
দোহায় ইসরাইলের হামলার কয়েক সপ্তাহ পরে, অক্টোবরের গোড়ার দিকে তারা মিশরে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে ওই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন এবং আলোচনা প্রক্রিয়াটি প্রায় ব্যাহত হয়েছিল।
শুক্রবার সিবিএস-এর সাথে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, পরের দিন সকালে তিনি এই হামলার কথা জানতে পারেন।
‘আমি মনে করি জ্যারেড এবং আমি উভয়েই এটি অনুভব করেছি। আমি অনুভব করেছি যে, আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তিনি উপস্থাপককে বলেন।
‘এর একটি গভীর প্রভাব ছিল। কারণ কাতারিরা আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মিশরীয় এবং তুর্কিরাও। আমরা কাতারিদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং হামাস আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল, তাদের কাছে পৌঁছানো খুব, খুব কঠিন ছিল।’
হামলার পর ইসরাইলকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র এবং গাজা যুদ্ধবিরতির দীর্ঘদিনের মধ্যস্থতাকারী কাতার।
এদিকে,দোহার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ট্রাম্প পরে স্পষ্ট করে বলেন যে, এই হামলার নির্দেশ কেবল ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দিয়েছিলেন। তবে হোয়াইট হাউস এটি সম্পর্কে অনেক দেরিতে জানতে পেরেছে।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে কুশনার বলেন, প্রেসিডেন্ট মনে করেন ইসরাইল সে সময় যা করেছে সে বিষয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে দোহার আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় ইসরাইল। হামলায় একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। কিন্তু হামাসের আলোচনাকারী প্রতিনিধিদল বা জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয় ইসরাইল। নেতানিয়াহু পরে কাতারের কাছে ক্ষমা চান।